শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ২৩০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শিগগির যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধাস্ত্র দেবে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের ঘোষণার একদিন পর এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। খবর: সিএনএন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, নতুন প্যাকেজের মধ্যে গোলাবারুদ, ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য ১৫০ মিলিয়ন বা ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ রয়েছে। প্যাকেজের এই অংশটি সরাসরি প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটির (পিডিএ) অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের মজুত থেকে নেয়া হয়েছে এবং দ্রæত ইউক্রেনে সরবরাহ করা যাবে।
ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভের (ইউএসএআই) আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনা হবে।
এই প্রোগ্রামে অস্ত্র সরবরাহ করতে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও কিয়েভকে এটি দীর্ঘমেয়াদে সহায়তা দেবে। ইউএসএআইয়ের প্যাকেজে ‘প্যাট্রিয়ট’ ও ‘নাসামস’ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এই দুটি সিস্টেম চলমান রাশিয়ান বিমান হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে।
ইউক্রেনের জন্য ইউএসএআইয়ের ২২০ কোটি ডলারের তহবিল যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত এ জাতীয় বৃহত্তম প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটি। তবে এপ্রিলের শেষের দিকে ঘোষণা দেয়া ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার ইউএসএআই প্যাকেজের তুলনায় এটি কম। এপ্রিলে পাস হওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পূরক সহায়তা প্যাকেজের এটি ইউক্রেনের জন্য পঞ্চম সামরিক সহায়তা প্যাকেজ। এপ্রিলের প্যাকেজে ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পেন্টাগনে গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভকে আপ্যায়ন করেন অস্টিন। বৈঠকের আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ২৩০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা প্যাকেজ ঘোষণা করবে। এদিকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে থাকা বেশ পুরোনো প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করতে ইউক্রেনের কাছে স্থানান্তর করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। ওই সূত্রের বরাতে সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো হস্তান্তর করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো চ‚ড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এ বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট লজিস্টিকসের মাধ্যমে কাজ করছে।