শেয়ার বিজ ডেস্ক:ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে এ অস্ত্র ধরনের অস্ত্র সহায়তা করা হবে। খবর: সিএনএন।
যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইউক্রেনকে শত শত আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেবেন। এছাড়া কিয়েভকে নতুন দূরপাল্লার সামরিক ড্রোন দেয়ার বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। এ প্রেক্ষাপটে আগামী মাসগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইউক্রেনে সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাজ্য গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্যই প্রথম কোনো পশ্চিমা দেশ, যারা ইউক্রেনকে এ অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিল। এখন কিয়েভকে আরও অস্ত্র দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে বৈঠক করতে গতকাল সোমবার আকস্মিক সফরে লন্ডনে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সুনাকের সঙ্গে বৈঠকের আগে টুইট করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, স্থল ও আকাশে ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিয়েভের প্রতিরোধ লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে দেয়া মার্কিন সহযোগিতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬০০ কোটি ডলারে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অবস্থান দ্বিতীয়।
সম্প্রতি ইউক্রেনকে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের (প্রায় ৩০০ কোটি ডলার) নতুন অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে বার্লিনের দেয়া সবচেয়ে বড় আকারের সহায়তা। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সহায়তার মধ্যে ৩০টি অতিরিক্ত লেপার্ড-১ ট্যাংক, মার্ডার সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও নজরদারি ড্রোন রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের সেনাদের ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান দিয়ে সজ্জিত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেবে ফ্রান্স। তাছাড়া রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনীয়দের রক্ষায় দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতেও নজর দেবে ফ্রান্স।
