শেয়ার বিজ ডেস্ক: স্পেন গত মাসে ঘোষিত ১২৩ কোটি ডলার অস্ত্র প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। গতকাল সোমবার স্প্যানিশ দৈনিক পত্রিকা এল পাইসের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এই পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিচিত একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এল পাইস জানিয়েছে, ইউক্রেনকে প্রায় এক ডজন প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল, ১৯টি সেকেন্ড-হ্যান্ড জার্মান-নির্মিত লেপার্ড ট্যাংক হস্তান্তর করবে স্পেন। এছাড়া স্পেনে নির্মিত অন্যান্য অস্ত্র, যেমন অ্যান্টি-ড্রোন গিয়ার ও গোলাবারুদও দেবে।
সোমবার মাদ্রিদ সফরে যাওয়ার কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও রাজা ফিলিপের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় নতুন অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করবে স্পেন।
গত মাসে ইউক্রেনের জন্য ১২৩ কোটি ডলারের অস্ত্র প্যাকেজের অনুমোদন দেয় স্প্যানিশ সরকার। তবে এই প্যাকেজে কোন কোন অস্ত্র থাকবে, তা নির্দিষ্ট ছিল না। অবশ্য এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পেদ্রো সানচেজের মুখপাত্র।
২০২২ সালের ২৪ জুন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এর দুই মাসের মাথায় ইউক্রেনকে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং লেপার্ড ব্যাটল ট্যাংক সরবরাহ করার ঘোষণা দেয় স্পেন। এরপর ইউক্রেনকে গোলাবারুদ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং হালকা অস্ত্র সরবরাহ করে দেশটি। সেই থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সামরিক সহায়তা জোরদার করে আসছে মাদ্রিদ।
শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে স্প্যানিশ ট্যাংকগুলো ব্যবহারের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় লাটভিয়ায়। ন্যাটোর অধীনে দেশটিতে স্পেনের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয় স্পেনে। এরপর স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিয়েভকে শোরাড অ্যাসপিড অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি চূড়ান্ত করে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো দেশটিকে আরও অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।
রাশিয়ার একটানা হামলার কারণে অর্থনীতি ও সরকারি বাজেটের বেহাল অবস্থা সামাল দিতে ইউক্রেন বিদেশ থেকে সাহায্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় সাত হাজার ৩৬০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা পেয়েছে দেশটি।