শেয়ার বিজ ডেস্ক:ইউক্রেনে সামরিক ব্যর্থতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বিপর্যয়ের ফলে কৌশলগত ও কম ধ্বংসক্ষমতা-সম্পন্ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন পুতিন। খবর: বিবিসি, আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার আটলান্টায় জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতার সময় বার্নস বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সম্ভাব্য হতাশার ফলে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে আমরা কেউই হালকাভাবে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টতই খুবই উদ্বিগ্ন। আমি জানি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যেখানে আপনি জানেন, পারমাণবিক সংঘাত সম্ভব। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া তার পরমাণু বিষয়ক বাহিনীকে সচল করছে কিংবা গোপন বাংকার থেকে পারমাণবিক বোমা বের করছে, এমন কোনো পরিস্থিতি গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
খারকিভে রুশ হামলায় নিহত পাঁচ শতাধিক: এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ হামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছেন শহরটির গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই খারকিভ শহরে আক্রমণ করে রুশ সেনারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ টেলিগ্রামে দেয়া এক বার্তায় বলেছেন, রুশ সেনাদের হামলায় নিহত ৫০৩ জনের মধ্যে ২৪ শিশুও রয়েছে।
যুদ্ধজাহাজ ডোবার পর কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণ: এদিকে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকালে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এর আগে রুশ যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার দাবি করে ইউক্রেন। তাদের দাবি, সোভিয়েত আমলের রুশ পতাকাবাহী মস্কভা জাহাজে আঘাত হানে ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। পরে জাহাজটি বৃহস্পতিবার ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
৫১০ নাবিকের মিসাইল ক্রুজার মস্কভাকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শক্তির প্রতীক বিবেচনা করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রাশিয়ার এ যুদ্ধজাহাজটি ১৯৭৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এটিতে রয়েছে ১৬টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অনেকগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, টরপেডো ও বন্দুক। কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ান বহরের এ জাহাজটি ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর আগে আরও একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন।