শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে ফের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন। খবর: সিএনএন।
এ নিয়ে ৩৩ বারের মতো ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা করল যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ৩২ বিলিয়ন (তিন হাজার ২০০ কোটি) ডলার বরাদ্দ দিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার নতুন অস্ত্র কিনে পাঠানোর চেয়ে সরকারি অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ইউক্রেনে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবারের সহায়তা প্যাকেজে আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক যান ও সরঞ্জামের পরিমাণ বেশি থাকবে। এতে যেসব অস্ত্র থাকছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেম ‘হাইমারস’-এর জন্য বাড়তি গোলাবারুদ, ১৫৫ মিলিয়ন (১৫ কোটি ৫০ লাখ) ডলারের কামানের গোলা, ১০৫ মিলিয়ন (১০ কোটি ৫০ লাখ) ডলারের ভিন্ন প্রকারের কামানের গোলা, ২৫ মিলিয়ন (দুই কোটি ৫০ লাখ) ডলারের গুলি এবং বাধা পরিষ্কারের যন্ত্রপাতি ও ধ্বংস করার গোলাবারুদ। আরও রয়েছে সামরিক যানচালিত বিশেষ সেতু, গাড়ি ও মেশিনের যন্ত্রপাতি ও রণাঙ্গনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সামরিক যানের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সরঞ্জাম।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোয় ইউক্রেনকে ৩১টি এম-১ আব্রামস ট্যাংক সরবরাহের কথা জানিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, তারা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিচ্ছে।
জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস সম্প্রতি একই পথ অনুসরণের কথা জানিয়েছে। অত্যাধুনিক এ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনীয় সেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। জার্মানিতে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে এ প্রশিক্ষণ হতে পারে। তবে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পরিচালনা করা বেশ ব্যয়বহুল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংঘাতের শুরু থেকে ইউক্রেন সোভিয়েত আমলের এস-৩০০ ভূমি থেকে আকাশে ব্যবহারযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে আসছে। যুদ্ধ শুরুর আগে থেকে তাদের কাছে প্রায় ২৫০টি এস-৩০০ ছিল। গত সপ্তাহে ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভের (ইউএসএআই) আওতায় যুক্তরাষ্ট্র দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা দেয়। এর আওতায় অস্ত্র কেনা হবে এবং এটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
ইউক্রেন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আশা করছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা এটি নাকচ করে দিয়েছেন।