Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:22 am

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ম্যাখোঁকে ডানপন্থি নেতার হুঁশিয়ারি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে সতর্ক করেছেন দেশটির অতি ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি দলের নেতা মেরিন লে পেন। তিনি বলেন, তার দল পরবর্তী সরকার গঠন করলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সুযোগ পাবেন না মাখোঁ। খবর: বিবিসি

পার্লামেন্টে ন্যাশনাল র‌্যালির নেতৃত্ব দেয়া মেরিন একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান প্রেসিডেন্টের জন্য একটি আলংকারিক পদ। প্রধানমন্ত্রীই আদতে এ বাহিনীর দেখভাল করে থাকেন।’ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দল বাজে ফল করায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। দুই ধাপে ভোট গ্রহণের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে রোববার। দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জুলাই।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ন্যাশনাল র‌্যালি পেতে পারে ৩৬ শতাংশ ভোট। সেই হিসাবে পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না দলটি। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তারা পেতে পারে ২৯ শতাংশ ভোট। মাখোঁর এনসাম্বল অ্যালায়েন্স পেতে পারে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাখোঁ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। প্রথাগতভাবে প্রেসিডেন্ট দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাশিয়ার পুরোদমে হামলা শুরুর পর ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়া ইউরোপের প্রভাবশালী নেতাদের একজন মাখোঁ। রাশিয়া যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করতে অস্বীকার করে আসছেন তিনি।

স্থানীয় পত্রিকা লে টেলিগ্রামকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেরিন বলেন, ন্যাশনাল র‌্যালির নেতা জর্দান বারদেলা ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মনে করেন তিনি। তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মেরিন বলেন, ‘তার (মাখোঁর) সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই জর্ডানের। তবে তিনি একটি চূড়ান্ত সীমা ঠিক করে দেবেন, প্রেসিডেন্ট সেনা পাঠাতে সক্ষম হবেন না।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর কাছে পরাজিত হওয়া মেরিন আরও বলেন, ‘পার্লামেন্ট নির্বাচনে ন্যাশনাল র‌্যালি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে দলের ২৮ বছর বয়সী জর্ডানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া ছাড়া মাখোঁর সামনে তেমন কোনো পথ খোলা থাকবে না। এর মানে হলো ক্ষমতা ভাগাভাগি; প্রেসিডেন্ট ও সরকারের আলাদা দল। ফ্রান্সে ২০০২ সালের পর এমনটি দেখা যায়নি।’