শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ খবরটি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধান প্রসিকিউটর ইরিনা ভেনেডিক্টোভা। খবর: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
ইরিনা আরও দাবি করেন, রাশিয়ার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১০ সাংবাদিক। নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও রাশিয়ার সাংবাদিকরা রয়েছেন। আহতদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংবাদিকরা রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
তার এ দাবি প্রকাশ করে ইউক্রেনের গণমাধ্যম ইউক্রেনিস্কা প্রাভদা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক মাস পার হয়েছে গত ২৪ মার্চ। বেসামরিকসহ সামরিক স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত অনেক ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। রুশ হামলা থেকে বাদ যাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও।
ইউক্রেনের সেনারা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ সেনাদের সঙ্গে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেমন হার মানতে রাজি নন, তেমনি পুতিন সরকারও যুদ্ধ থামাতে নারাজ। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্ব অনেকাংশে শেষ। এখন পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল পুরোপুরি মুক্ত করার দিকে নজর থাকবে রাশিয়ার।
তার এ দাবি প্রকাশ করে ইউক্রেনের গণমাধ্যম ইউক্রেনিস্কা প্রাভদা। এতে তিনি দাবি করেন, দ্য ইউনিফাইড রেজিস্ট্রার অব প্রি-ট্রায়াল ইনভেস্টিগেশনসের ৫৬ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে রুশ সেনারা।
গত ১ মার্চ কিয়েভের টেলিভিশন টাওয়ারে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের ক্যামেরা অপারেটর ইয়েভেনিই সাকুন নিহত হন। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কাজ করা কমিটির বরাত দিয়ে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। ১৩ মার্চ কিয়েভের কাছের শহর ইরপিনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর সাংবাদিক ব্রেন্ট রেনড (৫২) নিহত হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পিবডি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ছিলেন। ইউক্রেনের বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে।
