ইউক্রেন ইস্যুতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্রে নানা পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। খবর: সিএনএন।

এমনিতে কভিড-১৯ মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময় তেলের চাহিদা যখন বাড়ছে, তখন ইউক্রেন নিয়ে সংঘাত নতুন করে তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ব্যারেল প্রতি ক্রড অয়েলের দাম উঠেছে ৯৬ ডলারে, যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উত্তেজনার রেশে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ডাব্লিউটিআই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল বেড়ে হয়েছে ৯৪.৯৪ ডলার। এতে মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ আরও জোরালো হয়েছে। সংকটের কারণে এক ব্যারেল তেলের দাম ১১০ ডলারের বেশি হলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, ১৯৮১ সালের অক্টোবরের পর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি কখনো ১০ শতাংশের বেশি হয়নি। জেপি মরগান জানাচ্ছে, রাশিয়ার তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘœ হলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১২০ ডলারে পৌঁছাবে। এ কারণে পেট্রলের দাম আরও ব্যয়বহুল হতে পারে। এতে ভোক্তাদের আস্থায় ধাক্কা ও করপোরেট বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।

ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। সে কারণে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে মহড়া শেষে সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনাদের ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরে এলেও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর শঙ্কা এখনো রয়েছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। তাদের সেই আশঙ্কা গুঁড়িয়ে দিয়ে এবার ক্রিমিয়া থেকেও সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০