শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তিক্ততা বেড়েই চলছে রাশিয়ার। ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে পারে রাশিয়া’ জো বাইডেনের এমন আশঙ্কার পর রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাসলাইনের পাইপ বন্ধের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও রাশিয়া বলছে, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। এরপরও ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি উম্মুক্ত বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর: বিবিসি, এএফপি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড রাশিয়ার আচরণকে ‘হুমকিমূলক’ বলে অভিহিত করেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে। কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চলমান এ উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকার কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রদূত লিন্ডা বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনকে নিশানা করে অন্যান্য অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে রাশিয়া। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি স্পষ্ট হুমকি তৈরি করছে।
লিন্ডা বলেছেন, ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদকে চলমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়, তবে আন্তর্জাতিকভাবে করণীয় কী হতে পারে, তা নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, বসে বসে দেখা ও অপেক্ষার সময় এটি নয়। এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ মনোযোগ দরকার। সোমবার তারা খোলামেলা ও ফলপ্রসূ আলোচনার আশা করছেন।
রোমানিয়ার এক টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘে নিযুক্ত এ রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা থাকলেও নিরাপত্তা পরিষদে তারা একা বোধ করবে। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্য দেখাতে পারবেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না রাশিয়া: এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ইচ্ছা রাশিয়ার নেই, তবে নিজের ভৌগলিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে রাশিয়া কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ আরও বলেন, ‘মস্কো আশা করে- যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাশ্চাত্য মিত্ররা রাশিয়ার প্রকৃত অবস্থান উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।’
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় জেলেনস্কিকে বাইডেন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ‘সুনিশ্চিত’ বা ‘অতিস্পষ্ট সম্ভাবনা’ আছে। বাইডেনের ফোনালাপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার অবস্থান তুলে ধরলেন লাভরভ।