শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে সব পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের চীন প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন। খবর: বিবিসি।
ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের এ দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়া এবং সেখানে ‘শান্তি’ বজায় রাখার জন্য সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া।
এমন ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চীনের প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন। ওই দুই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়ায় মস্কোর নিন্দা জানাননি তিনি। বরং বলেন, বেইজিং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ঝ্যাং জুন ইউক্রেনের এ পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই ও উৎসাহ দিই।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আমরা উš§ুক্ত আছি। রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার ইচ্ছা নেই রাশিয়ার।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের ৯০ মিনিট পর মুলতবি ঘোষণা করা হয় বৈঠক। জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি সার্জেই কিসলিতসা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় পুতিনের নিন্দা করেন। তিনি রাশিয়াকে ‘ভাইরাস’-এর সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, এ ভাইরাস বিশ্বকে প্রভাবিত করছে। এমনকি জাতিসংঘকেও সংক্রমিত করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ অসুস্থ, এটি ক্রেমলিনের ছড়ানো ভাইরাসে সংক্রমিত।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন একসময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। এর পর থেকে উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।