ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালেও দেশটি দখলের পরিকল্পনা নেই বলে জাতিসংঘে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। বরং পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দুই প্রজাতন্ত্রের মানুষের জীবন রক্ষা এবং আট বছর ধরে তাদের ওপর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী, তাদের শায়েস্তা করতে এই অভিযান বলে দাবি করেছেন তিনি।

২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার রয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তিন দিনের বিশেষ এক জরুরি অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে এ কথা বলেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া।

সাধারণ পরিষদে ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ইউক্রেন দখল করাটা আমাদের পরিকল্পনার অংশ নয়। বিশেষ এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো সেইসব মানুষকে রক্ষা করা, যারা আট বছর ধরে কিয়েভ সরকারের নৃশংসতা ও গণহত্যার শিকার। এজন্যই ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করা প্রয়োজন।

এ সময় কিয়েভ সরকারের সংঘটিত অপরাধের উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত অভ্যুত্থানের প্রতিবাদকারী মানুষদের হত্যার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওডেসার ভবনে ৪০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ঘটনায় রুশ নাগরিকসহ যারা নৃশংসতা চালিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে চায় মস্কো।

২০১৪ সালে গণআন্দোলনের মুখে ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোচের পতন হলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই প্রজাতন্ত্রটির ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশভাষী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের ওপর নজর দেয় রাশিয়া। সাত বছর ধরে এই অঞ্চল দুটি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সংঘাত বিরাজ করছে।

মস্কোপন্থি বিদ্রোহীরা ক্রেমলিনের সহায়তায় দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে মুক্ত ঘোষণা করে। এর পর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ক্রমাগত লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০