Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:12 pm

ইউনাইটেড পাওয়ার ও সায়হাম টেক্সটাইলের ঋণমান নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল) ও ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৯৯ শতাংশ বা সাত টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০৩ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৮৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৭ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৯৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪২২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। যা আগের বছর দিয়েছিল ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ৫০ পয়সা ও ৪১ টাকা ২২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করে প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল প্রায় ৪১৭ কোটি টাকা।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৭৯ কোটি আট লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার একটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সায়হাম টেক্সটাইল মিলস: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর তিন দশমিক ৬১ শতাংশ বা এক টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫০ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৮১টি শেয়ার ২৯৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৯৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯০ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮১ কোটি তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার।