নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপতালে চিকিৎসা করাতে এসে অবহেলায় গত ১৫ বছরে মোট কত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তালিকা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে আগামীকাল হলফনামা দাখিলের মাধ্যমে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা মেনে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু হাইকোর্ট প্রকাশ করেননি।
গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে, আয়ানের পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাসপাতাল ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রুলও জারি করা হয়। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে কোন হাসপাতালের লাইসেন্স আছে এবং কোনগুলোর নেই এর তালিকা জমা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাসপাতালটিতে গত ৩১ ডিসেম্বর খতনা করতে আসা এক শিশুকে অ্যানেস্থেশিয়া দেয়া হয়। পরবর্তী সময় শিশু আয়ান আহমেদকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ৭ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম ও আয়ানের বাবা শামীম আহমেদের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল জারি করেন।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, চিকিৎসকদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় একই হাসপাতালে এর আগে আরও কয়েকজন রোগী মারা গেছেন।