Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 6:48 pm

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান ‘এএ প্লাস’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ওয়াসো ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ওয়াসো ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৬৯ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫০ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৬ পয়সা।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিমা খাতের কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ২৮ কোটি আট লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার ২৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৫৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৫৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬১ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।