নিজস্ব প্রতিবেদক: লোকসানে চলছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। দৈনন্দিন খরচ সামলাতে চলছে ধার করে। গ্রাহকদের জমানো আমানত ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে শেয়ার বিজে।
এরপরই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ঋণসীমা বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য। নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে এক কোটি টাকার ওপরের অঙ্কের কোনো ঋণ দিতে পারবে না প্রতিষ্ঠানটি। চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়াই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির প্রথম দায়িত্ব। ঋণ ও বিনিয়োগ প্রধান কাজ নয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। তাদের ঋণ ও আমানত অনুপাত এখন স্থিতিশীল নয়। তাই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হলো।
জানা গেছে, এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিকে যে কোনো ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদকে জানাতে হবে। আবার বড় অঙ্কের ঋণ (এক কোটি টাকার নি¤েœ) দেয়ার বেলায়ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মৌন সম্মতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ‘দৈনন্দিন খরচ মেটানোর টাকাও নেই, নেতৃত্ব দুর্বলতায় লোকসানে ডুবছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল’ শীর্ষক সংবাদটি গত ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয় শেয়ার বিজ পত্রিকায়। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের এফডিআরের শতকোটি টাকাও ফেরত দিতে পারছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এ বিষয়ে গত ২ নভেম্বর প্রকাশিত হয় ‘বিএটির এফডিআরের টাকা দিচ্ছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল’ শীর্ষক সংবাদটি।
লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে নেই। ব্যবস্থাপনায় চলছে নানা অনিয়ম। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির ঋণসীমা বেঁধে দিল।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল দেশের পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্ত। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়। ২০১৮ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারছে না।