নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সার্বিকভাবে সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী উত্তাপ এবং উত্তেজনা কখনো কখনো সহিংসতায় পরিণত হয়, যেটা আমাদের কাম্য নয়। আমি দেখেছি, মাঠ পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা এ কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা যথাসাধ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেছেন। যেখানে নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না, নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল না, সেসব জায়গার নির্বাচন তারা স্থগিত করেছেন।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়নি। শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও মারামারি হয়েছে, খুন-জখম হয়েছে। তারপরও স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে আবার নির্বাচন চালু করেছে এবং বিপুল সংখ্যক লোক উৎসবমুখর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ভোট দিয়েছেন।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে নির্বাচন নিয়ে আমরা একটু কষ্টের মধ্যে আছি। স্বাভাবিক সময়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ এর বেশি নির্বাচন করার প্রয়োজন হতো না। ২০২০ সালের মার্চ থেকে আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন স্থগিত হতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছিলাম কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবগুলো নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারিনি। করোনা যে শুধু নির্বাচন ব্যাহত করেছে তা নয়, লেখাপড়া, নিয়োগ পরীক্ষা পুঞ্জিভূত হয়েছে। একইসঙ্গে এতগুলো নির্বাচন হওয়ায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে ক্রান্তিকালীন অবস্থা মোকাবিলায় আমরা সচেষ্ট আছি।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও নির্বাচন হয়েছে। সব সময় আমরা আপনাদের সহযোগিতা পেয়েছি। যে নির্বাচনগুলো হয়ে গেছে সেগুলোর বিষয়ে আমরা আপনাদের পর্যবেক্ষণ জানবো এবং আগামীতে যে নির্বাচনগুলো হবে সেগুলোর বিষয়েও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারিখ এবং ব্যবস্থাপনা আমরা নির্ধারণ করবো।