শেয়ার বিজ ডেস্ক: পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরান ও মার্কিন প্রশাসনের সংঘাতের মধ্যে ইউরোপ নিজস্ব স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ইরানও পরমাণু চুক্তি মেনে চলার জন্য ইউরোপের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি ত্যাগ করলেও ইউরোপ এসব শর্ত মানলে ইরানও সে চুক্তি মেনে চলতে প্রস্তুত। খবর পার্সটুডে
গত বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তুল্লাহ আলী খামেনি তার ওয়েবসাইটে ইউরোপকে চারটি শর্ত দেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে-ইরান আগের মতোই পেট্রোলিয়াম বিক্রি করতে পারবে, এ মর্মে ইউরোপকে গ্যারেন্টি দিতে হবে। মার্কিন প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতিসাধন করলে ইরান থেকে তেল কিনে ইউরোপীয়দের ক্ষতিপূরণ করতে হবে। ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া ইরানের দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে কোনো রকম আলোচনার অবকাশ নেই। ইউরোপকে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। খামেনি বলেন, তার দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সঙ্গে কোনো বিরোধ চায় না। কিন্তু তাদের ওপর আস্থাও রাখা যাচ্ছে না। মোটকথা ইউরোপ দাবি না মানলে ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র গত দু’বছর ধরে বারবার পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে খামেনি অভিযোগ করেন।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বিরোধ যে কতটা চরমে পৌঁছেছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস তার প্রথম ওয়াশিংটন সফরে তা টের পেলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, দুই পক্ষ এ প্রশ্নে আপস-মীমাংসা থেকে অনেক দূরে রয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন মাস। তবে তিনি মার্কিন নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে ইউরোপ ইরানের প্রশ্নে অত্যন্ত ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন ইরান সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।