শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল-গ্যাস কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় জ্বালানির বিকল্প খুঁজতে বিশ্ব হিমশিম পোহাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোয় জ্বালানি সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছে কাতার। খবর: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
ইউক্রেন হামলা শুরুর পর থেকে তেল ও গ্যাসের বাজার অস্থিতিশীল। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোকে জ্বালানির জন্য ভিন্ন উৎসের সন্ধান করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এ দুটি দেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তবে গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ কাতারের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কাতারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি একটি জ্বালানি অংশীদারিত্বে পৌঁছেছে জার্মানি ও কাতার। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া। এজন্য গত রোববার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে কাতার জানায়, নিজ নিজ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে আবার যুক্ত করতে ও দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি করতে তারা জার্মানির সঙ্গে সম্মত হয়েছে।
এর আগে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি গত সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনা করেন।