নিজস্ব প্রতিবেদক: ইএফডি চালান নিলে জনগণ প্রদত্ত ভ্যাটে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান। চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সৈকত সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব আহরণ-বিষয়ক পর্যালোচনা সভা ও ইএফডি লটারি বিজয়ীদের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় রাজস্ব কর্মকর্তা ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে পুরস্কার বিজয়ীদের সংখ্যা বেশি। প্রায় প্রতি মাসে পুরস্কার প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ভ্যাট ক্রেতাদের সচেতন করতে পেরেছে। সাপ্তাহিক ছুটিতে (শুক্র ও শনিবার) ক্রেতাসাধারণকে ইএফডি চালান গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইএফডি চালান নিলে জনগণ প্রদত্ত ভ্যাটে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে ভ্যাট আহরণের পাশাপাশি সবার মধ্যে অনন্য সংযোগ স্থাপন করা যাবে। দ্রæত গতিতে ও ব্যাপকভাবে সব জায়গায় ইএফডি মেশিন বসানো গেলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। এনবিআর তিন লাখ মেশিন ক্রয় এবং বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
অনুষ্ঠানে কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন সবাইকে কেনা-কাটার সময় চালান সংগ্রহ করে তা লটারির জন্য সংরক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করেন। ড. মইনুল খান রাজস্ব আদায়ে কর্মকর্তাদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
এনবিআর কর্তৃক এপ্রিলের ইএফডি লটারিতে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা জিতেছেন তিনজন। তারা হলেনÑচন্দনাইশের মো. সামিমুর রহমান চৌধুরী, চান্দগাঁওয়ের মোহাম্মদ ফজলুল হক ও ফেনীর মো. হাবীব উল্লাহ। ইএফডিএমএস থেকে ইস্যুকৃত চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি ও আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তরের জন্য গতকাল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এনবিআর সদস্য ড. মইনুল খান লটারি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, ভোক্তা বা ক্রেতা কর্তৃক প্রদত্ত মূসক যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন থেকে চালান গ্রহণ করলে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এর আগে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও ৫০০টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে এনবিআর একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।