শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইকুয়েডরের একটি কারাগারে সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী কিটোর এল ইনকা কারাগার থেকে একটি অপরাধী দলের দুই প্রধানকে সরিয়ে নেয়ার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর: রয়টার্স।
ইকুয়েডেরের কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অপরাধী দলের দুই প্রধানকে একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ কারণে গত শুক্রবার এ সহিংসতা দেখা দেয়।
অপরাধী দল লোস লোবোসের প্রধান ‘বেরমুদেজ’ এবং আর৭-এর প্রধান ‘আনাচুনদিয়া’কে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পর সহিংসতা শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিটো ও সান্তো দোমিঙ্গোর কারাগারগুলোয় সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য এরা দায়ী।
ইকুয়েডরে বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খল কারাগার রয়েছে। এগুলোয় প্রায়ই সহিংস ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বন্দিদের মধ্যে যাদের অপরাধী দলের নেতা বলে বিবেচনা করছে, তাদের নতুন একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে।
কয়েক দশক ধরে ইকুয়েডরের কারাগার ব্যবস্থাপনা কাঠামোগত সমস্যায় ভুগছে। তবে ২০২০ সালের শেষ দিক থেকে জেল সহিংসতা বেড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ আসামিসহ কয়েকজন সাধারণ মানুষও মারা গেছেন, যা বন্দিদের পরিবারগুলোকে আতঙ্কিত করেছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রায় এক হাজার বন্দিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় দাঙ্গা হয়। তখন অন্তত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এ দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত সহিংসতায় আরও অন্তত দুই বন্দি নিহত হয়।
ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, রাজধানীর কারাগারে ৯ বন্দির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
এদিকে এসএনএআই কারা কর্তৃপক্ষ অন্তত ১০ বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট গিয়েরমো লাসোর অভিযোগ, কারাগারে দাঙ্গা রোধে তার সরকারের নেয়া সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিতে অপরাধী দলগুলো সহিংসতাকে ব্যবহার করছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ইকুয়েডরকে রুটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।