নানা কারণে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিতে চান অনেকেই। এ ইচ্ছাপূরণে প্রথম ধাপ হিসেবে রয়েছে কিছু কোর্স। এর মধ্যে অন্যতম টোফেল। তাই নিয়ে আজকের আয়োজন
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়তে চাইলে ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর থাকা চাই। এক্ষেত্রে অন্যান্য কোর্সের চেয়ে টেস্ট অফ ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ (টোফেল) অগ্রাধিকার পায়। এটি হলো ইংরেজি ভাষাভাষী নয়, এমন শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাই করার পরীক্ষা।
পরীক্ষা পদ্ধতি
১৩০টি দেশের ৯ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান টোফেল স্কোর গ্রহণ করে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়। চারটি সেকশনে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে থাকে। রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং ও লিসেনিং।
রিডিং সেকশন
এ অংশে প্যাসেজ থাকে। প্রশ্নের ধরন এমসিকিউ। প্রতি প্যাসেজে ১২-১৪টি প্রশ্ন থাকবে। মোট প্যাসেজ
থাকবে তিন থেকে পাঁচটি। রিডিং সেকশনের মোট নম্বর ৩০। সময় ৬০-৮০ মিনিট।
রাইটিং সেকশন
এ সেকশনে আপনি ইংরেজি লিখতে কতটা দক্ষÑতা যাচাই করা হবে। এখানে দুই ধরনের রচনা লিখতে হবে। একটি অডিও শোনানো হবে, সেখান থেকে বিষয়বস্তু নিয়ে কমপক্ষে ১৫০ শব্দের একটি রচনা লিখতে হবে। সময় ২০ মিনিট। অন্যটি সম্পূর্ণ নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ৩০০ শব্দের রচনা লিখতে হবে। সময় ৩০ মিনিট।
স্পিকিং সেকশন
এটি টোফেল পরীক্ষায় সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সেকশন। অন্যগুলোর মতো সমান ৩০ নম্বর হলেও এতে আপনি সময় পাবেন ২০ মিনিট। এখানে তিন ধরনের বিষয় থাকবে। প্রথমে নিজ সম্পর্কে বলতে বলা হবে। এরপর প্যাসেজ দেওয়া হবে, যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অডিও ও ভিডিও দেখানো হবে। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আপনাকে উত্তর করতে হবে। এরপর কথোপকথন শোনানো হবে। এখান থেকেই উত্তর জানতে চাওয়া হবে।
লিসেনিং সেকশন
এ অংশে কথোপকথন ও আলোচনার ওপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন থাকবে। চার থেকে ছয়টি লেকচার ও দু’তিনটি কথোপকথন শোনানো হবে। সময় ৬০ থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। মোট নম্বর ৩০।
প্রস্তুতি ও পরামর্শ
টোফেল পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেন অনেকে। তবে যাই হোক, নিয়মিত ইংরেজি চর্চা আপনাকে সাফল্য এনে দেবে। ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস পরিচালিত আমেরিকান সেন্টার লাইব্রেরিতে ইংরেজি শিক্ষার সহায়ক প্রতিষ্ঠানে ইংরেজিবিষয়ক বই ও সিডি-ডিভিডি পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে শিক্ষার্থীদের টোফেলসহ উচ্চশিক্ষাবিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার জন্য আছে ‘স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার সেন্টার’।