ইছামতীতে হেলে পড়ল সেতু, মানুষের ভোগান্তি

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর যাচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিক আব্দুর রহিম। এজন্য সকালে সাভারের বাসা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে রওনা হন তিনি। কিন্তু ঘিওরের কুস্তা এলাকায় গিয়ে দেখেন ব্রিজ ভাঙা। খুবই বিপাকে পড়ে যান তিনি। গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে তাকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।

মানিকগঞ্জের ঘিওর-জিয়নপুর সড়কের কুস্তা বেইলি ব্রিজের দুই পাশের অংশ হেলে পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে। এরপর থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে এ পথের সড়ক যোগাযোগ। এর ফলে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়েছেন অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, ঘিওরহাটসংলগ্ন এলাকায় ইছামতী নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। এর মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে হাটের বেশ কিছু অংশ। নদীতে গেছে অন্তত ১৫টি বসতভিটা। বৃহস্পতিবার থেকে ব্রিজের দুই পাশের মাটি ধসে যেতে থাকে। একটু একটু করে হেলে পড়ে সেতু। একপর্যায়ে সড়ক থেকে ব্রিজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে যান চলাচলসহ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান লাভলু দর্জি জানান, ব্রিজের এক পাশে রয়েছে সরকারি খাদ্যগুদাম। সেখানে মালামালসহ ২-৩টি ট্রাক আটকা পড়েছে। ব্রিজ ধসে যাওয়ায় খাদ্যগুদাম থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের ওএমএসের চালও নিতে পারছেন না ডিলাররা।

দুই পাড়ের রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহনের মালিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকের রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গেছে।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করে ইছামতীর এমন ভাঙনে স্থানীয়রা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিলে এতে ক্ষতি হতো না। ভয়াবহ রূপ নেয়ার পরই তারা বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি জানান, এখনও হুমকির মুখে রয়েছে নদী-তীরবর্তী এলাকার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট, মন্দির, মসজিদ, বসতবাড়িসহ ফসলি জমি।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে হেলেপড়া বেইলি ব্রিজটি টেনে তোলার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ। তারা বিশেষ কায়দায় ব্রিজটি টেনে তোলার চেষ্টা করছে।

ঘিওর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী সাজ্জাকুর রহমান জানান, ব্রিজটি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা কারি দুই-তিন দিনের মধ্যে এ সড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০