নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গতকাল লাখো মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। এছাড়া জুমার নামাজে বিদেশি মুসল্লিরাও অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।
ইজতেমার মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকে মুসল্লিদের স্রোতে পরিণত হয় ইজতেমা ময়দান। ইজতেমা ও জুমার নামাজে শরিক হতে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার এবং আশেপাশের জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভারতের মাওলানা আহম্মেদ ইব্রাহীম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এবার বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামীকাল রোববার জোহরের আগে ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হবে।
আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমা ৫৫তম। জুমার নামাজে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি টঙ্গী ও আশেপাশের এলাকার মসজিদ এবং আত্মীয় স্বজনের বাসায় অবস্থান নেন। ময়দানে জায়গা না হওয়ায় ইজতেমা ময়দানের আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও খালি জায়গায় অবস্থান নিয়ে মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেন। এছাড়া অনেকেই বাড়ির ছাদ, নৌকা, গাড়ির ছাদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এর আগে সকাল থেকে ইজতেমামুখী মানুষের স্রোত নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন।
প্রথম পর্বের পর চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। পরে একইভাবে আগামী ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের ইজতেমা পরিচালনা করছেন জোবায়ের পন্থিরা এবং দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন সাদপন্থিরা। বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বেই দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবেন।