প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা :চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডসহ প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, একজনের দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী পলাতক দুই অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক এ রায় পড়ে শোনান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন যশোর কোতোয়ালি থানার চাঁচড়া রায়পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ফজলুর রহমান ফজলু, ঠাকুরগাঁও জেলার মাধবপুর শিমুলতলী কর্ণপাড়ার গণেশচন্দ্র রায় ওরফে ঘটশ্যাম ওরফে বগার ছেলে দীপক কুমার রায় ওরফে শান্ত ওরফে অমর বর্মণ এবং গোপালগঞ্জ জেলার গাড়ইগাত গ্রামের শহীদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে আবু সুফিয়ান ওরফে শান্ত মোল্লা। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকান্দি উপজেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া রেলবস্তির ইয়ামিন আলীর ছেলে দিলন ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর বাগানপাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে পুলিশ লোকমুখে খবর পায়, দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর-লোকনাথপুর পাকা সড়ক-সংলগ্ন বেগুন ক্ষেতের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলামের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) এ মামলার বাদী হন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও আসামী পক্ষের অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি সাগর।