প্রশংসার সঙ্গে শক্তির জায়গাগুলোকে জোরালো করুন এবং তারা যা করতে পারে না, সেগুলো তুলে ধরার পরিবর্তে তাদের সক্ষমতাকে উৎসাহিত করুন। শিশুদের কেবল তখনই সহায়তা করুন, যখন এটি তাদের প্রয়োজন হয়। খুব বেশি সহায়তা তাদের স্বাধীন হয়ে ওঠার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং তারা সবসময়ই সহায়তা পেতে থাকবে এমন ধারণা তাদের মাঝে তৈরি হতে পারে।
সময়সূচি ব্যবহারে অভ্যস্ত করুন: রুটিন বা সময়সূচি শিশুদের সুরক্ষিত এবং নিরাপদ বোধ করতে সহায়তা করে। সন্তানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণÑএমন কার্যক্রম সংবলিত একটি রুটিন তৈরি করুন এবং এতে তাদের পছন্দের কিছু কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করুন। শিশুকে ফোন চ্যাট, কার্ড লেখা বা ছবি আঁকার মাধ্যমে বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করুন। সন্তানকে কাজের ক্ষেত্রে বিকল্প বাছাইয়ের সুযোগ দিন, যাতে বিষয়টি যে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেÑএমন ধারণা তাদের মধ্যে তৈরি হয়। এটি একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। যেসব শিশুর সহজ ভাষা ও সুস্পষ্ট নির্দেশাবলি এবং কথা না বলে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন তাদের ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করুন (উদাহরণস্বরূপ: অঙ্গভঙ্গি, ছবি এবং ভিজুয়াল সহায়তা)।
কিশোর-কিশোরীদের প্রতিপালন: কিশোর-কিশোরীরা স্কুল, বন্ধু ও তাদের সামাজিক জীবনের অভাব বোধ করতে পারে। তারা যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারে, সে জন্য তাদের বাড়তি সমর্থন ও সুযোগ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগের সৃজনশীল উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে বার্তা লেখা বা ছবি আঁকা।
একসঙ্গে পছন্দের একটি খাবার রান্না করুন। তাদের প্রিয় গান একসঙ্গে অনুশীলন করুন। এমন কিছু নিয়ে কথা বলুন যা তাদের পছন্দ: খেলাধুলা, সংগীত, বিখ্যাত ব্যক্তি এবং বন্ধু।
কভিড সম্পর্কে কথা বলা: তথ্য অনুসন্ধানে তাদের সম্পৃক্ত করুন এবং তাদের প্রশ্নগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
রেডিও প্রোগ্রাম, সংবাদপত্রের নিবন্ধ বা ইন্টারনেট থেকে কোনো বিষয় সম্পর্কে জেনে সে বিষয়টি পরিবারকে জানানোর কাজ দিন তাদের।
দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া: কিশোর-কিশোরীরা বাড়তি দায়িত্ব নিতে পছন্দ করে। তাদের একটি বিশেষ কাজ বেছে নেওয়ার অনুমতি দিন।
দিনের বেলায় এমন একটি সময় বেছে নিন যে সময়ে প্রত্যেকে নিজের ভালো লাগার কোনো একটি বিষয় অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে। নারী-পুরুষ এবং মেয়েছেলেদের মধ্যে দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করুন।
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে