ক্রীড়া ডেস্ক: ফুটবল ইতিহাসে আগে কখনও এমন ঘটনার জš§ দিতে পারেনি কোনো দল। গত পরশু রাতে সেটাই করেছে বার্সেলোনা। পিএসজির সঙ্গে প্রথম লেগে ০-৪ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় চরম অনিশ্চয়তা। কেননা এর আগে কখন প্রথম লেগে এত বড় ব্যবধানে হেরে কোনো দল ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু এটা যে বার্সেলোনা! তাদের পক্ষে সবই সম্ভব। বুধবার ফিরতি লেগে প্যারিসের দলটিকে মাটিতে নামালো লিওনেল মেসি-নেইমাররা। বলা যায়, ইতিহাস সৃষ্টি করে ন্যু-ক্যাম্পের দলটি ৬-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেল।
বার্সেলোনার ইতিহাস সৃষ্টি করা জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান নেইমারের। তিনি করেন দুটি গোল। পিএসজির বিপক্ষে ৮৭ মিনিট পর্যন্ত বার্সা তিন গোলের শূন্যতায় ভুগছিল। এ অবস্থায় দুটি গোল করে ম্যাচ বদলে দিয়েছেন নেইমার। ম্যাচ জয়ের পর ব্রাজিলের এই স্ট্রাইকার বলেছেন, এটি তার জীবনের সেরা ম্যাচ।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই পিএসজিকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তৃতীয় মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা। ৪০তম মিনিটে রক্ষণভাগের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে পিএসজি; বার্সেলোনার আশার পালে লাগে হাওয়া। বাঁদিক থেকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ব্যাকহিল করে গোলমুখে বল বাড়ান। ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার লেইভিন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সফল স্পটকিকে দলকে স্বপ্ন ছোঁয়ার আরেক ধাপ কাছে নিয়ে যান মেসি। লেইভিন নিজেদের ডি-বক্সে নেইমারকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ৬২ মিনিটে পিএসজি খেলায় ফেরে এডিসন কাভানির গোলে। তখনও বার্সেলোনার করতে হবে কমপক্ষে আরও তিন গোল! ৫-৫ গোল গড়ে খেলা শেষ হলেও যে প্রতিপক্ষের মাঠে গোলের সুবাদে জিতে যেত পিএসজিই। কিন্তু শেষ দিকে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে বার্সেলোনাকে আশা দেখান নেইমার। ৮৮তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে চমৎকার বাঁকানো ফ্রি-কিকে লক্ষভেদের পর সফল স্পটকিকে স্কোরলাইন ৫-৫ করেন ব্রাজিলের এই স্ট্রাইকার। এরপর যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে নেইমারের উঁচু করে বাড়ানো বল পা বাড়িয়ে জালে ঠেলে দেন বদলি হিসেবে নামা রবের্তো। সঙ্গে সঙ্গে কাতালান ক্লাবটি হয়ে যায় ইতিহাসের সাক্ষী।