সাপ্তাহিক বাজার

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের দর বেড়েছে ৪১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ আট কোটি ছয় লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা দুই টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৬৯ হাজার ৭৭৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৩১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬২ টাকা থেকে ১৩৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৬ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে ছয় টাকা ২৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ৫৭ টাকা ২৬ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে সাত টাকা ২৯ পয়সা ও ৭৭ টাকা ৮৬ পয়সা।

১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৭৬৭ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৯৮ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৭৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, সরকারি ২৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এক দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ছয় লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার।

এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে তিন পয়সা।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস তিন পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০ টাকা ৬৬ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬০ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা তিন টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৮ টাকা। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৬৩২টি শেয়ার মোট এক হাজার ৮১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৬১ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন সাত কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জেমিনি সি ফুড লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৪১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০