নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ বর্ধিত শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গতকাল যুব সংসদের বাজেট অধিবেশন-২০২০ এ এই প্রস্তাব করেন তিনি। ভার্চুয়াল এ অধিবেশনের আয়োজন করে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। এছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, ‘বর্তমানে ১০ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে। ১৬ কোটি সিম ব্যবহার করছে। এছাড়া ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে। এটি অনেকে কমানোর কথা বলছে। আমি তাদের সঙ্গে একমত।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শুল্ক ১০ শতাংশ ছিল, এটা কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা গেলে বেশি ভালো হতো। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে আগের ন্যায় অন্তত ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছি আমরা। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, আমরা বলেছি। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে দাপ্তরিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে লিখিত প্রস্তাব দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রী আমাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন।’
কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সময় এ ১০০ দিনই সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। তারা ক্লাস করছে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে চলমান সংকটের সময় ইন্টারনেট ও ই-কমার্স ব্যবহারকারী ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এমন অবস্থায় এ খাতে শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।