নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) কোম্পানিগুলোর ব্যান্ডউইডথ সমস্যার এখনও সুরাহা হয়নি। বকেয়া আদায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) ব্যান্ডউইডথ ডাউন করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের লাখো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত বিএসসিসিএল ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ শুরু করবে না বলে জানা গেছে। আজ রোববার এ বিষয়ে সমাধান আসতে পারে বলে জানিয়েছে আইআইজি অ্যাসোসিয়েশন। ১৯ আইআইজি কোম্পানির কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পাবে বিএসসিসিএল। এর মধ্যে ৯ আইআইজির কাছে পাওনা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধ না করায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। সাবমেরিন কেব্লের এমন সিদ্ধান্তে দেশব্যাপী ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে।
সাবমেরিন কেব্ল থেকে ব্যান্ডউইডথ কিনে মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) কাছে সরবরাহ করে আইআইজি কোম্পানিগুলো। দেশে ব্যবহƒত ব্যান্ডউইডথের পরিমাণ পাঁচ হাজার জিবিপিএস। এর মধ্যে বিএসসিসিএল সরবরাহ করে আড়াই হাজার জিবিপিএস।
সাবমেরিন কেব্লের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ জানান, বারবার বলার পরও তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। বিটিআরসি তাদের চিঠি দিয়েছে। তারও সাড়া দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধান্তে ব্যান্ডউইডথ বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে পাওনা আদায়ে ব্যবস্থা নিতে সাবমেরিন কেব্ল গত ১৩ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। মন্ত্রণালয় ৯ আগস্ট টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি সুরাহা করতে বলে। এরই ধারাবাহিকতায় বিটিআরসি ১৪ সেপ্টেম্বর আইআউজি অ্যাসোসিয়েশনকে (আইআইজিএবি) বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়। আইআইজিএবির মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ বলেন, বকেয়া পরিশোধের জন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই ৯টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আরও ১০ অপারেটরের ব্যান্ডউইডথ সীমিত করা হয়েছে। তাদের আগে জানানো হয়নি।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ব্যান্ডউইডথ কমে যাওয়ায় গ্রাহকদের ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। গ্রাহকরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, পাওনা আদায়ে সেবা বন্ধ ছাড়াও নানা উপায় রয়েছে। ব্যান্ডউইডথ বন্ধের সিদ্ধান্তে মূলত জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। জনগণকে ভুগতে হয়, এমন সিদ্ধান্ত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে নেয়?