দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহারও বাড়ছে। সবার জন্য ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের খাতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি একদিকে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, তেমনি এ খাতে সচেতন থাকাও এখন সময়ের দাবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি এখন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের বৃদ্ধির দ্রুততার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকটা সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এ কারণে অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর মতো কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। হ্যাকিং বা অন্যের তথ্য চুরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনলাইনে কাউকে হেয় করে কটূক্তি করা যাবে না।
দেশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটি কোড অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না, এমনকি কাছের বন্ধু কিংবা কোনো স্বজনের সঙ্গেও না। মনে রাখবেন আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য আপনি ব্যাতীত অন্য কারও কাছে সুরক্ষিত নয়।
অনলাইনে শুধু কারও ছবি দেখে বা প্রোফাইল দেখে কাউকে চেনা যায় না। অনেকে মন্দ উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য দিয়ে রাখে অন্যদের সঙ্গে প্রতারণার জন্য। কাজেই অনলাইন থেকে কোনো অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা না করাই শ্রেয়। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে নিজের নিরাপত্তার ব্যপারটি আগে নিশ্চিত করে দেখা করা যেতে পারে।
অনলাইনে ভুয়া পেজ খুলে প্রোপাগান্ডা ছড়ালে বিপদ ঘটতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যব্যবহার করুন। অনলাইনে সাইবার দুর্বৃত্তরা প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখে। একটু সচেতন হলে আপনি এ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অনলাইনে আর্থিক লেনদেন না করাই ভালো। অনলাইনে ভুয়া লিংকে ক্লিক করা বা শেয়ার করা উচিত নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন কেউ নিপীড়নের শিকার না হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। অন্যকে বিব্রত করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আক্রমণাত্মক কোনো পোস্ট দেওয়া উচিত নয়। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণসচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই সতর্ক থাকলে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকতে দায়িত্বশীল হতে হবে।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরতে কাজ করছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদফতর।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ
