শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈশ্বিক ইন্টারনেট নিয়ে নতুন এক সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও ৫৫টি দেশ। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে বৈশ্বিক ইন্টারনেট ব্যবস্থার জন্য নতুন নীতিমালা নির্ধারণের লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে এ নতুন পদক্ষেপ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ভার্চুয়ালি এ জোটের ঘোষণা দেন জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক উপদেষ্টা জেক সালিভান। খবর: রয়টার্স।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সরকার আক্রমণ কৌশল হিসেবে হ্যাকিং চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতেই ৫৫টি দেশের সঙ্গে নতুন নীতিমালা নির্ধারণের সমঝোতা চুক্তিতে গেল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
এটি ‘ডেক্লারেশন ফর দ্য ফিউচার অব দ্য ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রথম সমঝোতা চুক্তি ৫৬টি দেশের মধ্যে। এর অধীনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে মানবাধিকার, উš§ুক্ত তথ্যপ্রবাহ ও ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনতা। এছাড়া উদীয়মান বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতি ব্যবস্থার জন্য নিয়ম-নীতি নির্ধারিত হবে এ চুক্তির অধীনে।
ইন্টারনেট খাতকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাশিয়া ও চীন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠান ও সেবার ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উভয় দেশে। বাইডেন প্রশাসন চীন ও রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। নতুন সমঝোতা চুক্তি সেই ‘বিপদ’ মোকাবিলার পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদ উত্থানের একটি বৈশ্বিক চল দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে রাশিয়ার মতো দেশগুলোর মধ্যে বাকস্বাধীনতা রোধের চেষ্টা, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর সেন্সরশিপ, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ভুয়া তথ্যের প্রচার এবং নিজ দেশের নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, উম্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে গত বছরও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর এক জোট গঠনের চেষ্টা করেছিল হোয়াইট হাউস। ওই চেষ্টারই পরিবর্তিত সংস্করণ নতুন সমঝোতা চুক্তিটি।
জোটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাকি দেশগুলোর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় কমিশন, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রিস, ইসরাইল, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান ও ইউক্রেন।