নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক এমডিসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখতে হিসাবগুলো তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বিএফআইইউ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক, সৈয়দ আবেদ হাসান, ভিপি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) নাহিদা রুনাই, এভিপি (সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট) আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী, কোম্পানি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) সাইফুল ইসলাম এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের নির্বাহী স্থপতি সাকা বিনতে আলমের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। এ প্রতিষ্ঠান বাইরে অপর এক ব্যক্তির (উজ্জ্বল কুমার নন্দী) ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। যার বর্তমান ঠিকানা কারওয়ান বাজারের নাভানা ডিএইচ টাওয়ার, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মাথায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) তহবিল খালি। আমানত বলতে কিছুই নেই। গ্রাহকদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারই নিয়ে গেছেন প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকিং নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই।