নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৮০ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এজন্য কোম্পানিটি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার ও ইন্ট্রাকো সিএনজি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৮০ শতাংশ কিনবে, যা কিনা ইন্ট্রাকো সিএনজির ২৯ শতাংশ বা ৪৩ লাখ ৫০ হাজার শেয়ারের মালিকানাধীন। এজন্য ইন্ট্রাকো সোলার এবং ইন্ট্রাকো সিএনজির সঙ্গে চুক্তি করবে। গত রোববার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় শেয়ার কেনার চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ শেয়ার কিনতে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া ওই পর্ষদ সভায় কোম্পানিটি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ারের মালিকানাধীন ৩০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পিভি পাওয়ার প্লান্টে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪১ টাকা থেকে ৭০ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৪৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ২৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ২৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামীকাল ১৮ নভেম্বর।
এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ ও ৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা চার পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি চার দশমিক ১৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।