শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাম তেল রপ্তানি বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার কৃষকরা। গত মঙ্গলবার রাজধানী জাকার্তায় শত কৃষক এ বিক্ষোভে অংশ নেন। খবর: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
রপ্তানি বন্ধ করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। এতে কৃষকদের আয় কমে গেছে। এ কারণে পাম তেল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ইন্দোনেশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। এই তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম বাড়ছে। কম উৎপাদন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও কভিড মহামারির কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকটে ইন্দোনেশিয়ায় তেলসংকট দেখা দেয়। এ কারণে দেশটি পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বে শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক দেশ। গত ২৮ এপ্রিল অপরিশোধিত এ তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। অভ্যন্তরীণ রান্নার তেলের দাম বেড়ে যাওয়াও এর অন্যতম কারণ। বিক্ষোভকারীদের হাতে দাবি আদায় সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, মালয়েশিয়ার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে, অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার কৃষকেরা ভুগছেন। পাম তেল উৎপাদনে মালয়েশিয়া বিশ্বে দ্বিতীয়। ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বর্তমানে মালয়েশিয়া বাজার দখলের চেষ্টা করছে।
এক বিবৃতিতে ক্ষুদ্র কৃষকদের সংগঠন জানায়, তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপর পাম ফলের দাম ৭০ শতাংশ কমে গেছে। দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এ দাম নির্ধারণ করে। অন্য কৃষকরা সরকার নির্ধারিত দাম পান না। তারা মিলমালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেন। ক্ষুদ্র কৃষকদের সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ২৫ শতাংশ কৃষকের কাছ থেকে ফল কেনা বন্ধ করে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। কৃষকরা বলেন, দাম কমে যাওয়ায় অনেকে ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হবেন না। পাশাপাশি বন্দরগুলোয় জায়গা না থাকায় মিলগুলো নতুন করে ফল কিনছে না।