নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে ৫১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৫ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৪ টাকা ছয় পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৬২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২৩ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বাকি ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ছয় পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫২ পয়সা।
