Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:01 pm

ইপিএস কমেছে ওয়েস্টার্ন মেরিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ২৪ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ২৪ পয়সা বেড়েছে। আর প্রথম ছয় মাসে বা দুই প্রান্তিক (জুলাই- ডিসেম্বর, ২০১৯) শেষে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৫ পয়সা। আগের ছিল এক টাকা ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ২৭ টাকা ২৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩০ টাকা ২৬ পয়সা। আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৫ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৩৭টি শেয়ার এক হাজার ৪৪৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে দুই টাকা ৭১ পয়সা ও ৩৩ টাকা দুই পয়সা ছিল।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৮৮ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪টি শেয়ার রয়েছে।