Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:04 pm

ইপিবির প্রতিবেদন: দুই মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশের সার্বিক রফতানি আয় গত বছরের এ সময়ের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে পণ্য রফতানি করে দেশের আয় হয়েছে ৬৬২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাই-আগস্টে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৮২ কোটি ২৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত দুই মাসে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রফতানির। এ দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রা থেকেও প্রায় আট শতাংশ বেশি রফতানি আয় হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কৃষি ও শিল্পপণ্যের রফতানির তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি গতকাল এ প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে সেবা খাতের রফতানি আয়ের প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে সেবাখাত বাদে রফতানির মোট টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ৭৫০ কোটি ডলার)। সে হিসাবে এ দুই মাসে রফতানি আয়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১৪ কোটি ডলার। আর অর্জিত রফতানি আয় হয়েছে ৬৬২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রফতানি বেড়েছে। অবশ্য আগের মাসে প্রকাশিত এক মাসের প্রতিবেদনে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় এক শতাংশ অপূর্ণ ছিল। আগস্ট মাসে সেটি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক দেখা গেছে। শুধু আগস্টের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে মোট রফতানি আয় হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টের চেয়েও এ মাসে রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিমায়িত ও তাজা মাছ, কৃষিপণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, রাবার, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাকের নিট ও ওভেন খাতের রফতানি গত বছরের এ সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল শীর্ষস্থানীয় রফতানি খাত হলেও তৈরি পোশাক খাতটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। এবার জুলাই-আগস্টের প্রতিবেদনে দেখা গেছে এ খাতটিও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। তৈরি পোশাকের নিটওয়্যারে এই দুই মাসে রফতানি হয়েছে ২৮৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার; অন্যদিকে ওভেন খাতে ২৬৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রফতানি হয়েছে। সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের সম্মিলিত রফতানি আয় হয়েছে ৫৫২ কোটি ৪২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি এবং গত বছরের এ সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। মোট রফতানিতে এ খাতের অবদান দেখা গেছে ৮৩ শতাংশের বেশি।

এদিকে চামড়াকে প্রোডাক্ট অব দি ইয়ার ঘোষণা করা হলেও এ খাতের রফতানিতে তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকার রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই মাসের হিসাবে চামড়ার রফতানি গত বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। তবে সাধারণ চামড়ার রফতানি ২৪ শতাংশ কমেছে গত বছরের এ সময়ের তুলনায়। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য মিলে এ সময়ে সর্বমোট ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে। এছাড়া পাটপণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও তা গত বছরের দুই মাসের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হয়েছে।