Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:43 am

ইফতারে মজাদার খাবারের নবী হোটেল

বৈচিত্র্য আর ভিন্ন স্বাদের জন্য নবী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কদর রয়েছে ফেনীবাসীর কাছে। ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে হোটেলটির অবস্থান। এর ইফতারির আয়োজন অনন্য। এর কদর বেড়েই চলেছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও শহরের প্রাণকেন্দ্রের এ প্রতিষ্ঠানটি রমজান উপলক্ষে নানা খাবারের পসরা সাজিয়েছে। প্রতিদিন ইফতারির জন্য ভিড় লেগেই থাকে। এখানের ইফতারি নিতে হলে আগে টাকা জমা দিয়ে সিøপ নিতে হয়। পরে লাইনে দাঁড়িয়ে তা সংগ্রহ করতে হয়। তবে অনেকে এ ঝামেলা এড়াতে জোহরের নামাজের পরে ইফতারি নিয়ে যান।
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইফতারি বিক্রি শুরু হয়। এ বছর ইফতারিতে বাড়তি স্বাদ নিয়ে নতুন রূপে যোগ হয়েছে মাটন রোল, মাটন হালিম, নার্গিস কোপতা, নারিকেল সমুচা, মাটন সমুচাসহ বিভিন্ন রকমের মুখরোচক খাবার। প্রতি কেজি জিলাপি ১৫০ টাকা, পায়েস কেজি ৩০০ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ৩০০ টাকা, মাটন হালিম ৩২০ টাকা ও চিকেন হালিম ৩২০ টাকা।
চিকেন ফ্র্রাই ১০০ টাকা, চিকেন মাসালা ১৫০ টাকা, গ্রিল কাবাব চিকেন এক কোয়ার্টার ৯০ টাকা, কাচ্চি বিরিয়ানি ১৮০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি ১৫০ টাকা, বিফ খিচুড়ি ফুল প্লেট ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চনাবুট ১২০ টাকা, কাঁচা বুট ১৪০ টাকা, পেঁয়াজু প্রতি পিস পাঁচ টাকা, বেগুনি পাঁচ টাকা, আলুর চপ পাঁচ টাকা, সবজি চপ ১০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব ২০ টাকা, মাটন জালি কাবাব ২০ টাকা, মাটন সমুচা ১০ টাকা, নারিকেল সমুচা ১০ টাকা, পাটিসাপটা পিঠা ২০ টাকা, সবজি রোল ২০ টাকা, মাটন রোল ২০ টাকা, চিকেন রোল ২০ টাকা, নারগিস কোপতা ২০ টাকা ও বোরহানি লিটার ১২০ টাকা।
নবী হোটেলের স্বত্বাধিকারী মেজবাহ উদ্দিন কামাল জানান, চাহিদা বাড়ায় ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে রং ও ভেজাল মুক্ত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হোটেলের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানান, প্রতিদিন আমাদের তৈরিকৃত ইফতারিতে বিশেষ আয়োজন করা হয়। রোজার স্পেশাল খাবারের পুরোটাই বিক্রি হয়ে যায়।
ফেনীর সিনিয়র সাংবাদিক এনএন জীবন জানান, হোটেলটিতে রাত-দিন ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। রমজান তো বটেই। রমজান ছাড়াও এ হোটেলে আমি নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করি।

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ