নিজস্ব প্রতিবেদক :প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এএ২’। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ১৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৫১ পয়সা (লোকসান)।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৫১ শতাংশ বা দুই টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির এক কোটি ৭৫ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ৬৭ হাজার ১৪টি শেয়ার মোট ৫৬৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৯০ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) চার শতাংশ বা ২৭ পয়সা বেড়েছে। ওই সময় ইপিএস করে সাত টাকা এক পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ছয় টাকা ৭৪ পয়সা। তবে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩৬ পয়সা কমেছে। ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ টাকা ৬১ পয়সা। আর ওই সময় মুনাফা করেছে ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ১০৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৪৭ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তিন দশমিক ৮২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত সাত দশমিক ৯১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ৩৫।