নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনে শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোস লিমিটেড। ওইদিন কোম্পানিটির মোট ৬১ কোটি ৮৮ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সূত্রমতে, গতকাল কোম্পানিটির ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার মোট পাঁচ হাজার ২৩৫ বার লেনদেন হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে পাঁচ দশমিক ৭৩ শতাংশ পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৯২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯১ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন৮৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩ শতাংশ নগদ ও চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৮ পয়সা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা ৫১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৪৪ টাকা এক পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ১৬ পয়সা ও ৪৪ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৩৬ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর মুনাফা ছিল ৪৮ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে এক টাকা তিন পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। এটি একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩৩ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৭১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছিল ৩১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৩৭ টাকা ছয় পয়সা। এটি একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ৪৪ টাকা এক পয়সা।
২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ২১ শতাংশ। কোম্পানির ১৯ কোটি ৯৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার।
Add Comment