Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:13 pm

ইবিতে পাঁচ হলের নির্মাণকাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে

সামী আল সাদ আওন, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে। এ মেগা প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে হলেও মেগা প্রকল্পের কাজের চলছে ধীর গতিতে। অবশিষ্ট সময়ে মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইবির মেগা প্রকল্পের আওতাধীন শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট চারটি নতুন হল ও শেখ রাসেল হলের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি নতুন হলসহ শেখ রাসেল হল ছেলে শিক্ষার্থী ও অন্য দুটি নতুন হল মেয়েদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইবির এ নতুন পাঁচটি হলের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে।

প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন শিক্ষার্থীদের পাঁচটি হলের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২৩৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা মেগা প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের প্রতি হলের জন্য ৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা, মেয়েদের হলপ্রতি ৫৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ও শেখ রাসেল হলের প্রবৃদ্ধির জন্য ২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিটি হলের জন্য ১৬ হাজার ৯০০ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ রয়েছে।

জানা যায়, ১০ তলাবিশিষ্ট পাঁচ হলের কাজ শেষ হলে নতুন প্রতিটি হলে এক হাজার ও শেখ রাসেল হলে ৫০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ হবে। অর্থাৎ মোট চার হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার সুযোগ পাবেন।

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ছেলেদের তিনটি হলের একটির দ্বিতীয় তলা দৃশ্যমান। বাকি হল ও শেখ রাসেল হলের বর্ধিত অংশের কাজ শুরু হলেও তাদের কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের হল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা স্থানে গাছ কেটে জায়গা পরিষ্কার করা হলেও নির্মাণ-সংলগ্ন কাজ এখনও অস্পষ্ট। এছাড়া মেয়েদের নতুন দুটি হলের কাজ গত বছর শুরু হলেও এখনও হল নির্মাণের জন্য পাইলিং শুরু করা হয়নি। মেয়েদের একটি হলের দুতলাবিশিষ্ট হলের ডাইনিং ও কমন রুম নির্মাণাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্তর আহমেদ বলেন, আবাসিন সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। মেগা প্রকল্পের হল বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খান ফাবিহা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে এ হলগুলোর বিকল্প নেই। তাই মেগা প্রকল্পের আওতাধীন হলগুলোর কাজ সম্পন্ন করে নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন বাড়াতে হবে। হলগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে তা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পড়াশোনার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ইবির এ মেগা প্রকল্পের মেয়াদ এ বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে। করোনার কারণে বেশ কিছুদিন হলগুলোর কাজ বন্ধ থাকায় আরও দুই বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এটা মঞ্জুর হলে আমরা মেগা প্রকল্পের কাজ ঠিক মত শেষ করতে পারব।