প্রতিনিধি, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলের অধিকাংশ বাসের ফিটনেস ঠিক নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে ভালো বাসগুলো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এবং ফিটনেসবিহীন ভাড়া বাসগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ফিটনেসবিহীন বাস যেকোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের দূরত্ব যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার হওয়ায় যাতায়াতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এসব ফিটনেসবিহীন বাসে প্রতিদিন চলাচল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা বাসগুলোর কয়েকটি বসার সিট ভাঙা, গ্লাস ভাঙা ও বিভিন্ন স্থান ভাঙা থাকা ছাড়াও নানা সমস্যায় জর্জরিত। একটি লুকিং গ্লাসবিহীন বাসও দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া অধিকাংশ বাসের সিট নড়বড়ে। এতে যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের বাস ঠেলে ইঞ্জিন সচল করতেও দেখা গেছে।
এদিকে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থেকে তিনটি বাস ক্যাম্পাসে আসে। তা শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীকে দাঁড়িয়ে আসতে হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিক বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাড়া বাসগুলো প্রায় ফিটনেসবিহীন। এছাড়া বাসগুলো লোকাল যাত্রী তুলে ভাড়া নেয়। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রী তুলতে। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে ক্লাসে যেতে পারে না। প্রশাসনের এসব বিষয়ে নজর দিয়ে ফিটনেসবিহীন বাসগুলো পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো বাস দিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফিটনেসবিহীন বাসের আইনানুগ ব্যবস্থা শুধু বিআরটিএ নিতে পারবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির ব্যাপারে আমরা গাড়ি সরবরাহকারীকে গাড়িগুলো না দেয়ার জন্য বলতে পারি। আমি ফিটনেসহীন বাসগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।