Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 2:46 pm

ইবিতে শাটল ট্রেন চাই

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার এবং ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে অবস্থিত বিশেষায়িত এই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চয়তা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ৪৪ বছর পরেও কেবল ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী মেসে, কুষ্টিয়া কিংবা ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছে। শিক্ষার্থী পরিবহনের ৫৩টি বাসের মধ্যে ৩৭টি বাসই চলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মালিক সমিতির সঙ্গে চুক্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয় কার্যদিবসের প্রতিদিন তিনবার আসা যাওয়া করে বাসগুলো। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও আলাদা বাস রয়েছে। যার ফলে পরিবহন বাবদ নিয়মিত গুনতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। বেশির ভাগ বাস ভাড়ায় চালিত হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে পরিবহন ধর্মঘট দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এছাড়া বাইরের যাত্রী পরিবহন করা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেই চালক ও সহযোগীদের সঙ্গে তৈরি হয় বাগবিতণ্ডা।  শিক্ষার্থীদের শিকার হতে হয় দুর্ব্যবহারের। এ অবস্থায় শাটল ট্রেনের প্রয়োজন অনুভব করছে শিক্ষার্থীরা। এতে আশা করা যায়, বাজেটের অনেক খরচ বেঁচে যাবে এবং শিক্ষার্থীরাও নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

খালিদ সাইফুল্লাহ তাহমিদ

শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়