নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ডায়াবেটিক রোগীদের কাছে প্রতিষ্ঠানটি দেশসেরা। এ হাসপাতালের বিদ্যমান সকল প্রকার চিকিৎসা সেবাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ ছাড় পাবেন কাস্টমস ও ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সকল কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। বিদ্যমান এ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে রোববার (৩১ মে) উভয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা সই হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকে সই করেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয় কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ ও কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক কমিটির আহবায়ক ও ঢাকা কাষ্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার ডা. এস এম হুমায়ুন কবীর।
সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সদস্য (গ্রেড-১) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, মূসক, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের মো. মাশেকুর রহমান খান, কনসালটেন্ট কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, মো. মতিউর রহমান খান, ব্যবস্থাপক, প্রশাসন, এ এস এম মনজুরুল ইসলাম, নির্বাহী সচিব, ডা. সাব্বির হাই ব্যবস্থাপক, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি প্রমুখ।
সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ও মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দু’জনেই করোনা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে দু:খ প্রকাশ করেছেন।
চুক্তির বিষয়ে বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ মুশফিকুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, দেশে কভিড-১৯ মহামারির এই দুর্যোগকালে আমাদের সদস্যদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এটি কেবলমাত্র নন-কভিড শারিরীক সমস্যার জন্য প্রযোজ্য হবে। আগামীকাল শমরিতা হাসপাতালের সাথে আরও একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ভবিষ্যতে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সদস্যদের বাসায় গিয়ে কভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে।
এ সমঝোতা স্মারকের ফলে কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটি সদস্য, কর্মকতা, কর্মচারী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য (পিতা-মাতা, স্বামী/স্ত্রী এবং দুই সন্তান ১৮ বছর অনূর্ধ্ব) হ্রাসকৃত মূল্যে হৃদরোগের চিকিৎসাসহ সব প্রকার ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করাতে পারবেন। কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যায়নপত্র নিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক থেকে চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা নিতে পারবেন।
রোগী ভর্তি হলে তার হাসপাতাল বিলের উপর ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চার্জের ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। সব ল্যাব ইনভেস্টিগেশন, ইসিজি, ইকো, ইটিটি, হলটার মনিটরের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। ওপিডি কনসালটেশনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। তবে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে শুধুমাত্র চার্জের উপর ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে। টেস্ট, ভাল্ব, পেসমেকার, বেলুন ইত্যাদির উপর ডিসকাউন্ট প্রযোজ্য হবে না।
কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি হলে সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের নিয়ম অনুসারে বিল পরিশাধ করতে হবে। সেবা গ্রহণকারী ভর্তির সময় আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করা যাবে। এটি ছাড়াও রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সাথে কাস্টমস সদস্যদের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি রয়েছে।