ইমরান খানের অর্থছাড়ের প্রস্তাবে রাজি নয় আইএমএফ

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নতুন করে ঋণের অর্থছাড়ের আগে পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফলের ওপর অডিট পরিচালনার অনুরোধ জানিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে রাজি হয়নি আইএমএফ। খবর: রয়টার্স।

আইএমএফ জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের ডিরেক্টর কমিউনিকেশন জুলি কোজ্যাক বলেন, সংস্থাটি স্ট্যান্ডবাই অ্যারেঞ্জমেন্টের (এসবিএ) অধীন গত ১১ জানুয়ারি মোট ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৯০ কোটি ডলারে নিয়ে গেছে। এই কর্মসূচি পাকিস্তানের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য আইএমফের প্রচেষ্টার অংশ বলে জানান তিনি।

পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করে জুলি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আইএমএফের মুখপাত্র আরও বলেন, তারা পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

এসময় ইমরান খানের নির্বাচনী ফলাফল অডিটের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

পাকিস্তানের জন্য নতুন ঋণ কর্মসূচি অনুমোদনের আগে আইএমএফকে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল অডিট করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদিয়ালা কারাগারে একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালে ইমরান খান সাংবাদিকদের জানান, চিঠিটি আইএমএফকে লেখা হয়েছে এবং সেটি আজই পাঠানো হবে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ ঋণ পেলে ফেরত দেবে কে?

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে মাত্র ৪৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটি তাদের সর্বনিম্ন রিজার্ভ। সম্প্রতি বিপুল বৈদেশিক ঋণের কিছু কিস্তি পরিশোধের পর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য থেকে অবশিষ্ট রিজার্ভের পরিমাণ জানা গেছে।

গত ১২ জানুয়ারি স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) জানায়, দেশটির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় মোট ৫৮০ কোটি ডলার রয়েছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ১০ কোটি ডলার রয়েছে পাকিস্তানে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০