ইমরান খানের ওপর ফের অনাস্থা প্রস্তাব

শেয়ার বিজ ডেস্ক: লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দেশটির বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটে এ প্রস্তাব জমা দেন তারা। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রায় ১০০ আইনপ্রণেতা। খবর: ডন।

এ প্রস্তাব আসার পর ইমরান খান বলেন, এভাবে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। এতে বরং তার সরকার আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এটা বিরোধীদের শেষ চেষ্টা। আমরা তাদের এমনভাবে পরাজিত করব যে তারা ২০২৮ সাল পর্যন্ত আর কিছু করতে পারবে না। এই বিরোধীদের সঙ্গে কিছু বিদেশি শক্তিও জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়ার সময় স্পিকার তার কার্যালয়ে ছিলেন না। এজন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটে এ প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।

এর আগে গত বছর মার্চেও একবার এই অনাস্থা ভোট আনা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তখন তিনি ১৭৮ ভোট তার পক্ষে পেয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে যা ছয়টি বেশি ছিল। এবারের এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পেলে মসনদ ছাড়তে হবে সাবেক ক্রিকেট তারকাকে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সদস্যসংখ্যা ৩৪২। প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোট পড়লে ক্যাবিনেট ভেঙে ফেলে ইস্তফা দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। জোট সরকারের নেতা ইমরানের কোনো জোটসঙ্গী যদি বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেন, তাহলে প্রয়োজনীয় ১৭২টি ভোট পাওয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (ইমরানের দল) পক্ষে সুবিধাজনক নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না ইমরান খানের সামনে। বিরোধীদের দাবি, ইমরানের দলের ২৮ আইনপ্রণেতা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেবেন বলে সম্মত হয়েছেন।

দেশটির আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য প্রস্তাবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কমপক্ষে ২০ শতাংশ (অন্তত ৬৮ আইনপ্রণেতা) সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০