শেয়ার বিজ ডেস্ক: তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (৫ আগস্ট) দেশটির একটি জেলা ও দায়রা আদালত এ রায় দেন। দণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে এক কোটি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনে’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানার মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে গত ১০ মে অভিযোগ দায়ের করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দেশটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেছেন, ‘ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে তোশাখানার উপহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ নির্বাচনী ১৭৪ ধারার ওপর ভিত্তি করে করে ইমরানকে তিন বছরের জেল দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি দিলাওয়ার আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য আদেশের একটি অনুলিপি ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধানের কাছে পাঠাতে হবে।
তোষাখানায় থাকা উপহার সামগ্রী এবং বিক্রয় থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশ না করার অভিযোগে ক্ষমতাসীন জোট সরকার গত আগস্টে ইমরানের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি পরে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠান।
পাকিস্তানে তোষাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিভাগ। সরকার ও অন্যান্য রাজ্যপ্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শাসক, সংসদ সদস্য, আমলা ও কর্মকর্তাদের যেসব উপহারসামগ্রী দেন, সেগুলো সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা একটি দপ্তর এটি।
তোষাখানার নিয়ম অনুসারে, প্রযোজ্য ব্যক্তিদের দেওয়া উপহার এবং অন্যান্য উপকরণ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়মিত রিপোর্ট করতে হয়।
২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পিটিআই সরকার ইমরানকে দেওয়া উপহারের বিবরণ প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ছিল। যুক্তি ছিল, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলবে।