শেয়ার বিজ ডেস্ক: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ‘জড়িত থাকার অভিযোগে’ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর: জিও টিভি।
ইমরানের সঙ্গে তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘আজাদি মার্চ’ নামে লংমার্চের সময় সড়ক অবরোধ, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে বিঘœ ঘটানো, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও জানমালের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত মাসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের নেতৃত্ব দেশটির বিভিন্ন শহরে একের পর এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
সম্প্রতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় ক্ষমতাসীন জোটকে ছয় দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। অন্যথায় পরবর্তী সময় আরও বেশি লোকজন নিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসার হুশিয়ারি দেন তিনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মার্চ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি করে তার বহুল আলোচিত ‘হাকিকি আজাদি মার্চ’ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে পর্দার আড়ালে সমঝোতা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতার বৃত্তে থাকা শক্তিশালী গোষ্ঠীটি (সামরিক বাহিনী) সক্রিয় ছিল বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়। কিছু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে দুই পক্ষকে তারা চাপ দেয়। এর মধ্যে ছিল পিটিআইয়ের আজাদি মার্চের রাজধানীতে প্রবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিবর্তে সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকা। সূত্রগুলো জানায়, ওই শক্তিশালী গোষ্ঠীসহ সবারই মুখ রক্ষার বিষয় ছিল। বিষয়টি কেবল আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।