শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ১১ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান খান। গতকাল সোমবার রেডিও পাকিস্তান ইমরান খানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ থেকে নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইমরান এ কথা বলেন। খুব শিগগিরই প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি। খবর রয়টার্স, ডন।
গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১১৫টি আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে দেশটির পার্লামেন্টের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭২ আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১৩৭টি আসন না পাওয়ায় পিটিআই’কে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে।
জোট গঠনের জন্য পিটিআই নেতারা স্বতন্ত্র ও ছোট দলগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। পিটিআই নেতারা এরই মধ্যে এমকিউএম-পি, জিডিএ, পিএমএল-কিউ, পিএপি এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এদিকে এক দিন আগেই গত রোববার নওয়াজ ও বেলাওয়ালের দল ইমরান খানকে হুমকি দিয়ে বলেছে, তেহরিক-ই-ইনসাফ যদি কেন্দ্রে সরকার গঠনে সমর্থ হয়, তাহলে প্রধান দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পার্লামেন্টে যৌথ বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল দুটি ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন জানায়, ২৫ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনের পর গত রোববার পিএমএল-এন ও পিপিপির নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রত্যক্ষ বৈঠকে দল দুটি সহযোগিতার ব্যাপকভিত্তিক সমঝোতার ব্যাপারে একমত হন।
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক সম্পর্কে পিএমএল-এনের মুশাহিদ হুসাইন সাইয়িদ বলেন, ‘এটি ছিল বরফ গলানো।’ পিএমএল-এন নেতা বলেন, এটি ছিল অত্যন্ত ভালো বৈঠক এবং আপনি একে বলতে পারেন মতবিনিময়। তিনি বলেন, ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উভয় দলই সম্পূর্ণ একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, উভয় দলই একমত যে তাদের উচিত ‘নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান’ এবং পার্লামেন্টে থেকে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে বেগ দেওয়ার জন্য ‘সমন্বিত যৌথ বিরোধিতার কৌশল’ প্রণয়ন করা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, পিটিআই’র প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (৬৪ আসন) এবং বেনজির ভুট্টোর ছেলে বেলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (৪৩ আসন) পার্লামেন্টে ‘সমন্বিত ঐকমত্যের মাধ্যমে’ ইমরান সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
