ইমাম বাটনকে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ এনবিআরের  

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইমাম বাটনকে জরিমানা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে ফাঁকি দেওয়া টাকা ও জরিমানার অর্থ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। গত ২১ মার্চ এনবিআর এমন নির্দেশ দেয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুল্ক বাবদ ইমাম বাটন অবৈধভাবে চার লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৪ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। যা কাস্টম বন্ড কমিশনারের তদন্তে প্রমাণ হয়েছে। আর শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কোম্পানিটি কাস্টম অ্যাক্ট, ১৯৬৯ লঙ্ঘন করেছে। এর জন্য কোম্পানিটিকে আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাই কাস্টম অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কোম্পানিটিকে ফাঁকি দেওয়া টাকা ও জরিমানার অর্থসহ মোট ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৪ টাকা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৩০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৪ পয়সা ও ৯ টাকা ৩১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৭৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৯ হাজার ৭৩৮টি শেয়ার মোট ৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই লাখ ৮৮ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ আট টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।

১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে দায়ের পরিমাণ এক কোটি ৩১ লাখ টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৪ পয়সা। কর-পরবর্তী লোকসান করেছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে দুই পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল সাত টাকা ৭৫ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল আট টাকা ৩০ পয়সা।

কোম্পানিটির মোট ৭৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০